দূর থেকে তাকালেই দেখা যায় শিমের মাচায় সবুজের সঙ্গে দুলছে রঙিন ফুল। সাদা ও বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মৌসুম শুরুর আগেই এমন মনোরম দৃশ্য চোখে পড়েছে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বিভিন্ন শিম বাগানে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন উপজেলার চাষিরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু জমিতে শিম উত্তোলনও শুরু হয়ে গেছে। বাজারে বিক্রিও শুরু হয়েছে।
ছেংগারচর পৌরসভার ঢালীকান্দি গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী ও হানিরপাড় গ্রামের মামুন বলেন, মৌসুমের শুরুতেই বাজারে শাকসবজি তুলতে পারলে চাহিদা বেশি থাকে, দামও বেশি পাওয়া যায়। আগাম সবজি চাষ করতে হলে যেমন অর্থ খরচ হয়, তেমনি শ্রমও দিতে হয় বেশি।
ছেংগারচর পৌরসভার মোহাম্মদ আলী জানান, প্রতিবছরই আগাম শীতকালীন শিম চাষ করে থাকেন তিনি। এ বছরও ব্যাপকভাবে শিমের চাষ করা হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে বিক্রি করছেন ১২০ টাকা কেজি হিসেবে। শিম বিক্রি থেকে এ বছর প্রায় এক লাখ টাকা আয় হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে বর্তমানে শিমের আবাদে নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি বলে জানান কৃষকেরা। বীজ লাগানোর পর থেকে এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করতে বীজ, সার, বাঁশ, তার, শ্রমিক, সেচ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন,এ বছর প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে শিম উত্তোলন শুরু হয়ে গেছে এবং বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অসময়ে শিমের দামটা বেশি পাওয়া যায়, এ জন্য কৃষকেরা আগ্রহী এবং লাভটা ভালো পচ্ছেন।