কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে ভাটার ইট পরিবহনের জন্য সংরক্ষিত বনের ভেতর রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাহাড় ও বন উজাড় করে আধা কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছেন ইট ভাটার মালিকেরা। এতে চরম হুমকিতে পড়েছে বন্যপ্রাণী ও বনাঞ্চল।
জানা গেছে, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের মানিকপুর বিটের অধীনে সুরাজপুর-মানিকপুর-লামার ফাইতং সড়কের নতুন পাহাড় এলাকা। সেখানে সংরক্ষিত বনের বুক চিরে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুজন যুবক কোদাল দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা সমান করে দিচ্ছেন। এই রাস্তা প্রতি বছর ভাটার ইট পরিবহন করে বড় করা হয়। পাশে কাটা পাহাড়ি
লতা-ঝোপঝাড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বনের ভেতর দিয়ে আধা কিলো হাজার মিটার এগিয়ে গেলে পাহাড়ের পাদদেশে চারটি ইটভাটা। সংরক্ষিত বনের ভেতর পাহাড় কেটে ভাটার ইট পরিবহন করতে ১৫-৩০ ফুট প্রস্থের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।
ভাটার দু শ গজের মধ্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়। সংরক্ষিত বনের কিছু জায়গাও দখল করেছে ফোরবিএম ইটভাটা। ফোরবিএম-এর মালিক খাইরুল এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
বন বিভাগের মানিকপুর বিট কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘ইটভাটাগুলো চকরিয়ার সংরক্ষিত বন ও লামার ফাইতং অংশে। তবে যে রাস্তা দিয়ে ইট পরিবহন করছেন তা মানিকপুর বিটের অধীনে। রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর আগে তৈরি করা হয়েছে। তবে বনাঞ্চলটি সামাজিক বনায়নের আওতাভুক্ত।’
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বনের ভেতর রাস্তা করার কোনো নিয়ম নেই। ওই স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’