সিলেটে করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহীতারা মুঠোফোনে খুদে বার্তা না পেলেও টিকা নিতে পারবেন। সাত দিনের মধ্যে সবাইকে নগরভবনের নিচতলায় যোগাযোগ করে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সিসিকের আওতায় যে সব টিকাগ্রহীতা মডার্না, কোভিশিল্ড (অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রেজেনেকা) ও সিনোফার্মের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি তাঁরা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নগরভবনের নিচতলায় যোগাযোগ করে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে খুদেবার্তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
বর্তমানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, মডার্ন ও সিনোফার্ম টিকার দ্বিতীয় ডোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। তাই যাঁরা নিবন্ধন করে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন কিন্তু দ্বিতীয় ডোজের জন্য মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাননি তাঁরাও একই সময়ে টিকা নিতে পারবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলমান করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমে এ পর্যন্ত মহানগরীতে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৭২৩ জন কোভিশিল্ড, ১ লাখ ৫ হাজার ২৮৯ জন সিনোফার্ম, ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৭১ জন মডার্না এবং ৫২ হাজার ১০২ জন ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
এদিকে, প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৪০২ জন কোভিশিল্ড, ১ লাখ ১০ হাজার ৮১৩ জন সিনোফার্ম, ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৭ জন মডার্না, ১ লাখ ৩০ হাজার ৭২৭ জনকে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ফাইজারের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন ১৩ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে, যাদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫৭৮ জন এইচএসসি শিক্ষার্থীও পেয়েছে ফাইজারের ভ্যাকসিন।
ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সব মিলিয়ে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২১৪ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।