খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযোদ্ধা, স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন নারী, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রচলন করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১২২টির বেশি ভাতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রায় দুই লাখ মানুষ ভাতা পাচ্ছেন।
`মুজিব বর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল রোববার খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র খালেক আরও বলেন, কাউকে পেছনে ফেলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের শুরুতেই অনগ্রসর, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নত হচ্ছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুর রশীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে পক্ষাঘাত, জন্মগত হৃদ্রোগ ও থ্যালাসেমিয়া ১০১ রোগীর মাঝে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এক লাখ আট হাজার ৪৬১ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৪৭ হাজার ৮৭৩ জনকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা এবং ৩৪ হাজার ৫৭৯ জনকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাসহ মোট এক লাখ ৯০ হাজার ৯৩১ জনকে জিটুজি পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইলে এই ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে পক্ষাঘাত, জন্মগত হৃদ্রোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তার জন্য এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪১ জনকে দশ কোটি ২১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে খুলনা সিটি মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাবে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এদিকে কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও রূপসায় নানা আয়োজনে সমাজসেবা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।