বরুড়া উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কার্যালয় থাকলেও ছয় মাস ধরে নেই কার্যক্রম। এতে কৃষকেরা চাহিদামতো ধানের বীজ কিনতে পারছেন না। বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যান্য সেবা থেকেও। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লোকবল সংকটের কথা বলছেন।
২৪ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বরসহ কোনো মাধ্যম সেবাপ্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে দেখা যায়নি। এ নিয়েও কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
জানা গেছে, বিএডিসির সেবার পরিধি সমগ্র দেশে বিস্তৃত। মাঠপর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ে, এমনকি আরও প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের কার্যক্রম রয়েছে। সে অনুযায়ী বরুড়া উপজেলা পর্যায়ে বিএডিসির কার্যালয় রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এতে কর্মরত কর্মকর্তারা গত ছয় মাস ধরে অফিস করেন না।
এতে কৃষকেরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। সংগ্রহ করতে পারছেন না ধানের বীজ। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন ধানবীজের জাত পরিচিতিসহ স্বল্পমূল্যে কৃষকের কাছে বিক্রি করে। বাজার থেকে কৃষকেরা ধানের বীজ সংগ্রহে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনাও অহরহ। তাই বিএডিসির বীজের ওপর আস্তা কৃষকদের।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মো. দেলোয়ার মিয়া এখন কৃষিকাজ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরুড়ার রাজপুর গ্রামে। তিনি গত সপ্তাহে বিএডিসি কার্যালয়ে এসে দেখেন, অফিস কক্ষে তালা। তিনি বলেন, এর আগেও কয়েকবার এসে অফিসে কাউকে পাননি। তিনি জানান, ৫৮ ধানের বীজ কিনতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ফিরে যান তিনি।
কৃষক মো. ইলিয়াছ মিয়া, মো. রুহুল আমিন ও মো. আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া বীজ কোথায় যায়, সে বিষয়ে খবর নেওয়া দরকার। বিএডিসি অফিস গত ছয় মাস ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল চান্দিনা।
এ বিষয়ে বিএডিসির কুমিল্লার পরিচালক নিগার আহমেদ বলেন, ‘বিএডিসির বর্তমানে জনবল নেই। তাই বরুড়ার অফিসের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়নি। তবে খুব দ্রুত অফিস খোলার রাখার ব্যবস্থা করব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসি অফিসের কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে তিনি জানেন না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।