রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে অবৈধভাবে মাটি খনন করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ মাটি কাটা ও অবৈধ রাস্তা বন্ধ করে দেন।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটিকাটা মেশিনের চালক, মাটি বাহনের গাড়ি চালকসহ সংশ্লিষ্টরা সবকিছু রেখে পালিয়ে যায়। কাউকে না পেয়ে মাটি খনন যন্ত্র, বহনকারী ড্রাম ট্রাকসহ যাতায়াতের পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন।
স্থানীরা জানান, তাঁরা কয়েক দফা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এখানে এসে বসবাস করছেন। এখান থেকে মাটি কাটার কারণে অনেকেই নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাঁরা নিষেধ করা সত্ত্বেও এখানে প্রতি বছরই ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটা, নির্মাণাধীন ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এবার যেভাবে মাটি কাটছে তাতে বর্ষা মৌসুমে বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
দৌলতদিয়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাশেম খাঁন বলেন, দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের নিচ থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির সহযোগিতা চাইলে সে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করেন এবং মাটি খনন যন্ত্র, বহনকারী ড্রাম ট্রাকসহ যাতায়াতের পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, দৌলতদিয়ার এই পয়েন্টটিতে অনেক মানুষ প্রতি বছরই নদী ভাঙনের শিকার হয়। এখানে কিছু ভূমিদস্যু রয়েছে যারা নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে এবং সেখান দিয়ে একটি অবৈধ রাস্তা তৈরি করেছে। এলাকাবাসীকে নিয়ে এখানে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ এই রাস্তা দিয়ে যাতে মাটির গাড়ি না আসতে পারে সে জন্য রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।