চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি মাদ্রাসার পরিচালনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। পরে সংবাদ পেয়ে আনোয়ারা থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এনামুল হক (৩৪), মো. ইদ্রিস (৪২), মো. আলমগীর (৩৫), ইদ্রিস (২৭), আবদুল গফুর (৫৭), ইমন (২৬), হাসান (১৫), হিরা আকতার (৩৫), জোবায়ের (১৬), তাহেরা (৩০), রুমি (২৫), শাহ আলম (৫০), আবদুর রহমান (৬০), সোহেল (২৮), জাকির আহমেদ (৭০), জাফর ইকবাল (৪০), ফরহাদ (২০), মো. আবদুর রহিম (৫০), নুর হোসেন (২০), আলমগীর (৩৮), ইউসুফ (২২) ও রুবেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুধকুমড়া গ্রামের মদিনাতুল উলুম ফোরকানিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলিম উদ্দিন মাতব্বরের গোষ্ঠী ও দুধকুমড়া মধ্যমপাড়া সোসাইটির মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে গতকাল উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ২২ জনেরও বেশি নারী-পুরুষ আহত হন।
ফারহানা আকতার নামের এক নারী জানান, সংঘর্ষের সময় তাঁর বাবা মৃত মনির আহমেদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া এরফান আলী নামের আরেক ব্যক্তির বাড়িতেও হামলা হয়।
বারশত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, ফোরকানিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা নিয়ে স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মাদ্রাসাটি মূলত ওয়াকফ্ এস্টেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিবাদমান দুই পক্ষকে নিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে সমঝোতা বৈঠক হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।