বলিউডের ২০২১ সালের শুরুটা হয়েছিল প্রত্যাশা নিয়ে। অনেকেই মনে করেছিলেন, এ বছরটা বক্স অফিসে নতুন কিছু বেঞ্চমার্ক সৃষ্টি হবে। কিন্তু এই বছরও ছিল করোনাভাইরাসের প্রকোপ। সব মিলিয়ে প্রথম ছয় মাস ছিল বেশ উদ্বেগজনক। এই সময়ে বড় বাজেটের কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। বছরে ১০০ কোটি রুপির বেঞ্চমার্ক পার করেছে মাত্র একটি ছবি। অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সূর্যবংশী’। ছবিটির আয় প্রায় ৩০০ কোটি। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সালমান খানের ছবি ‘অন্তিম’ আয় করেছে মাত্র ৫৮ কোটি রুপি। মোটামুটি মানের ব্যবসা করা ছবিগুলোর তালিকায় রয়েছে ‘বেল বটম’, ‘তাড়াপ’, ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’, ‘রুহি’, ‘মুম্বাই সাগা’, ‘বান্টি অউর বাবলি ২’, ‘রাধে’, ‘সত্যমেভ জয়তে’। এই তালিকায় বছরের শেষ সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া বড় দুই ছবি ‘৮৩’ ও ‘জার্সি’র হিসাব ধরা হয়নি। এই বছর শতাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে এর অর্ধেকেরও বেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে। ওয়েবে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো ছিল ব্যাপক আলোচিত। এই তালিকায় ‘শেরশাহ’, ‘অতরাঙ্গি রে’, ‘ধামাকা’, ‘বব বিশ্বাস’, ‘সর্দার উধম’, ‘সনাক’, ‘হাসিন দিলরুবা’, ‘তুফান’, ‘শেরনি’, ‘পাগলায়েত’ আলোচিত হয়।
এ বছর শাহরুখ খান, আমির খান, হৃতিক রোশন ছাড়া প্রায় সব বড় নায়কের ছবিই মুক্তি পেয়েছে। নায়কদের মধ্যে সমালোচকদের মন কেড়েছেন ‘৮৩’ ছবির নায়ক রণবীর সিং। এ ছাড়া অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন ‘শেরশাহ’ ছবির সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, ‘সর্দার উধম’ ছবির ভিকি কৌশল। অভিনেত্রী হিসেবে উজ্জ্বল ছিলেন কৃতি শ্যানন (মিমি), সারা আলী খান (অতরাঙ্গি রে), কঙ্গনা রনৌত (থালাইভি), সানিয়া মালহোত্রা (পাগলায়েত), তাপসী পান্নু (হাসিন দিলরুবা)। নতুন হিসেবে আলোচনায় ছিলেন সুনীল শেঠিপুত্র আহান (তাড়াপ) ও এহান ভাট (’৯৯ সংস)।
বক্স অফিস বিশেষজ্ঞ অমোদ মেহরা বলছেন, ‘বিগত বছরগুলোর দিকে নজর দিলে দেখবেন, বছরের শুরুর দিকে সালমান, শাহরুখ ও অক্ষয় কুমার এমন তারকাদের ছবি ছিল। ইন্ডাস্ট্রির সেরা পরিচালকদের ছবি ছিল। কিন্তু এ বছর প্রথম সারির তারকাদের ছবি তুলনামূলকভাবে কম এসেছে। তাই স্বাভাবিকভাবে বক্স অফিস কালেকশন কম থাকবে।’
আরেক বক্স অফিস ব্যবসা বিশেষজ্ঞ গিরিশ জোহর বলছেন, ‘শুধু কোভিডের কারণে ব্যবসা কম হয়েছে বললে ভুল হবে। ব্যবসা কম হওয়ার অন্যতম কারণ ভালো কনটেন্ট না থাকা। বড় ছবিগুলো ঠিকই ব্যবসা করেছে। হাতে গোনা কয়েকটি বড় ছবি মুক্তি পেয়েছে। কোনো সারপ্রাইজ হিটও ছিল না।’
তবে জনপ্রিয় ব্যবসা বিশেষজ্ঞ তারান আদর্শ বলেছেন, ‘করোনা মহামারি কাটিয়ে এ বছর হলগুলো চালু হয়েছে। দর্শক হলে ফেরা শুরু করেছে। এটাও বড় পাওয়া।’
সালতামামির অন্যান্য আয়োজন: