দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগি এলাকার প্রধান রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটিতে হাঁটু কাদা হয়। ফলে এলাকার মানুষকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুতারখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর কালাবগি ওয়ার্ডের এ রাস্তাটি দিয়ে এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত চালনা বাজারে চলাচল করে। রাস্তাটি পাকা না হওয়ার কারণে এখানে বর্ষাকালে প্রচুর কাঁদা হয়। যার ফলে এলাকার মানুষকে ট্রলারে করে এলাকার মানুষকে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।
কালাবগি থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এই ৩০ কিলোমিটার পথ ট্রলারে করে যেতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। তা ছাড়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে মানুষকে খুব কষ্টের সঙ্গে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকার শিশুদের এই স্কুলে হেঁটে যেতে হয় কাদার মধ্যে দিয়ে।
তা ছাড়া কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগীর আত্মীয়স্বজনদের।
কালাবগি এলাকার রাজ্জাক শেখ বলেন, ‘রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা। তারপর রাস্তার দুই পাশে যে গাছ লাগানো হয়েছে তার বেশির ভাগই কাঁটাযুক্ত গাছ। রাস্তার কোল ঘেঁষে গাছগুলো লাগানোর ফলে বেশির ভাগ গাছগুলো রাস্তার ভেতরে হেলে পড়েছে। যে কারণে রাস্তাটি এখন অনেক সরু হয়ে গিয়েছে। তবে এসব নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামে যে প্রাইমারি স্কুল আছে তা গ্রামের মাঝ বরাবর অবস্থিত। সেখানে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে। তাঁরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে যাওয়া আসা করে এই কাদার ভেতর দিয়ে। যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহাসিম শেখ বলেন, ‘দেশ কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির দিকে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও কালাবগি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার যে দশা তা সত্যিই খুব দুঃখজনক।’
মহাসিম শেখ আরও বলেন ‘এক হাঁটু সমান কাঁদা পানি অতিক্রম করে তারপর চালনা বাজার যেতে হয়, যা এলাকার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।’
সুতারখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমাদের পোল্ডারে টেকসই ওয়াপদা রাস্তা নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা রাস্তাটি পাকা করার কাজ করব।’