খানাখন্দে ভরা বেহাল সড়ক। এর মধ্যে আবার টানা বৃষ্টি। উত্তরার দক্ষিণখানের মাটির মসজিদ থেকে সিএনজি পাম্প পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হাঁটুপানি হয়ে যায়। গতকাল সোমবার এ রাস্তায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। জলাবদ্ধ ভাঙা রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বিপাকে পড়েন চালকেরাও।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার বেশির ভাগ জায়গায় হাঁটুপানি জমে আছে। রাস্তার পানি ঢুকে পড়ছে দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকেই দোকান খুলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। বৃষ্টির পানি জমে তলিয়ে গেছে ছোট ছোট কয়েকটি পোশাক কারখানা। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার খুব একটা চোখে পড়েনি। হাতেগোনা কয়েকটি রিকশা-অটোরিকশা চলেছে রাস্তায়। রাস্তায় গর্ত থাকার কারণে হেঁটে চলতেও হয় বিপত্তি। ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তার সংস্কারের দাবি নিয়ে বেশ কয়েকবার আমরা স্থানীয় কাউন্সিলের (মোতালেব মিয়া) কাছে গিয়েছি। কিন্তু উনার বারবার একই কথা, উন্নয়নের জন্য নাকি বাজেট নেই।’
স্থানীয় আরেকজন ঝর্ণা ইসলাম বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি জমে যায়। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা নানা প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ এই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।’
মান্নান মডেল একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র রিদওয়ান এলাহী বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। জলাবদ্ধতা হলে স্কুলে যেতে পারি না।’
স্থানীয় বাসিন্দা তানিয়া কাকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা দেখে মনে হয় ধানখেত।’ ’
সার্বিক বিষয়ে জানতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব মিয়াকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তী সময়ে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. জহিরুল ইসলাম হাসান বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের কিছু বলার অনুমতি আমার নেই।