শেরপুরে ধানখেতে সেচ দেওয়া নিয়ে বিরোধ মীমাংসার সালিসে প্রতিপক্ষের হামলায় কিনের আলী (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজন আহত হন। গত বুধবার রাতে উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিনের সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন সাতপাকিয়া গ্রামের উকিল সরকারের ছেলে মো. ফিরোজ মিয়া (৩৫) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৩৮)। এর মধ্যে ফিরোজ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ইদ্রিস মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে আমন ধান খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাতপাকিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মিনালের বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করার জন্য দুই পক্ষের লোকজন বুধবার রাত ১০টার দিকে সাতপাকিয়া গ্রামে চান মিয়ার বাড়িতে বৈঠকে বসেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন অস্ত্র দিয়ে কিনের আলী, ফিরোজ মিয়া ও ইদ্রিস মিয়ার ওপর হামলা চালান। এতে তাঁরা গুরুতর আহত হন। পরে এলাকাবাসী তাঁদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কিনের আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।