স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অবশেষে খালাস পেলেন হরিজন সম্প্রদায়ের তুষার দাস ওরফে রাজ। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে সুস্মিতা অদিতি ভালোবেসে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন হরিজন সম্প্রদায়ের তুষারকে। তবে অদিতির বাবা-মা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তাই তুষারের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন অদিতির মা। ওই মামলায় প্রায় আট মাস কারাগারে ছিলেন তুষার।
বিচার শেষে তুষারকে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ওই অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, তুষার দাস সুস্মিতা ওরফে অদিতিকে অপহরণের পর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে বিয়ে করেন। আসামি শিশু সুস্মিতাকে বিয়ে করবেন–এই আশ্বাস দিয়ে অপহরণ করেছেন, যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
রায়ের পর তুষারকে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল হাইকোর্ট আপিলের রায়ে তাঁকে খালাস দেন।