মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ প্রতিমার বাঁশ-কাঠের ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করার কাজে মহাব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কর্নিগ্রাম শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী (কারিগর) শীতল আশ্চর্য। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২২ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি। সারা বছর কমবেশি প্রতিমা তৈরি করি। তবে দুর্গাপূজার সময় প্রতিমার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এ বছর ৯টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি। সে জন্য রাতদিন পরিশ্রম করছি।’
প্রতিটি প্রতিমা ২৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন শীতল আশ্চর্য। প্রতিমা তৈরিতে তাঁর ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। একটি প্রতিমা তৈরি করতে সপ্তাহ খানেক লাগে তাঁর।
রাজনগর উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি কেতকি রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘গত বছর ব্যক্তিগত ও সার্বজনীন মিলে মোট ১২৯ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বছর এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এ পর্যন্ত ৩টি মণ্ডপে নতুন করে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান হবে।’
আগামী ১১ অক্টোবর মহা পঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজা। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। ১২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ।