কারাগারে আটক তুরস্কের বিখ্যাত দানবীর ওসমান কাভালাকে শিগগিরই মুক্তি দিতে ১৮ অক্টোবর এক যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০টি পশ্চিমা দেশ। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ অবস্থায় ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ও পশ্চিমাদের মধ্যে বড় ধরনের টানাপোড়েন তৈরি হলো।
শনিবার এক বক্তৃতায় এরদোয়ান বলেন, কাভালাকে মুক্তির দাবি জানানো দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। অসংগত দাবির কারণে তাদের তুরস্কে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে। তুরস্ককে না জেনে, না বুঝে তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই।
২০১৭ সাল থেকে বন্দী কাভালার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে বিক্ষোভকারীদের তিনি অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। তা ছাড়া পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত থাকারও অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
যৌথ বিবৃতি দেওয়া দেশগুলো হলো কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বললেও কোনো কোনো দেশ নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে নরওয়ে জানায়, তাদের রাষ্ট্রদূত এমন কিছু করেনি, যার কারণে তাকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার সনদ মেনে চলতেও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
তবে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক নিজেদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে নিউজিল্যান্ড। আর জার্মানি এবং ডেনমার্ক বিষয়টি মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে। অপরদিকে ইইউ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ঘোষণা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।