হোম > ছাপা সংস্করণ

এবারও খালি থাকবে সাড়ে ৭ লাখ আসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এইচএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরবর্তী স্তরে ভর্তিতে আসনসংকট হবে না। পরিসংখ্যান বলছে, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চেয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আসন অনেক বেশি রয়েছে। বরং এবারও অন্তত সাড়ে ৭ লাখ আসন খালি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে গত বুধবার। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।

অন্যদিকে ২০২১ সালে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে সাকল্যে ৯ লাখ। এটা পাস করা শিক্ষার্থীর হিসাবে প্রায় ৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে এইচএসসি পাসের পর অন্তত ৩০ শতাংশ কর্মজীবনে ভিড়ে যায় বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ভর্তির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে অন্তত সাড়ে ৭ লাখ আসন এবারও খালি থাকবে।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালে শতভাগ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০২১ সালে পাস করেছিল ১৩ লাখের বেশি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সবাই ভর্তি না হওয়ায় বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার আসন খালি আছে। বিগত বছরগুলোর ভর্তির প্রবণতা অনুযায়ী যদি ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়, তাহলে এবার ৭ লাখের মতো আসন লাগবে। এই হিসাবে অন্তত সাড়ে ৭ লাখ আসন আসন শূন্যই থাকবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও আসনসংকট নেই। আমাদের স্নাতক পর্যায়ে ১৩ লাখের বেশি আসন আছে।’

একই কথা বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আসনসংকট নেই। সব শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি হতে পারবে। তবে আমরা চাই গতানুগতিক পড়াশোনা না করে কারিগরি শিক্ষায় ভবিষ্যৎ গড়ুক। এতে চতুর্থ বিপ্লবে সহায়ক হবে।

ইউজিসি তথ্য অনুসারে, উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৭ হাজার ৯৯টি হাজার আসন আছে। এ ছাড়া ৯৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সোয়া ২ লাখ আসন আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজে ডিগ্রি পাস ও স্নাতকে ১২ লাখ ৬৯ লাখ ৯৪৮ আসন আছে প্রথম বর্ষে।

এ ছাড়া মেডিকেল ও ডেন্টালে আসন আছে ১২ হাজার ও দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাজীপুরের আইআইইউটি ও চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) ৪৪০টি।

শিক্ষার্থীদের অনেকে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর বিশেষায়িত কারিগরি শিক্ষায় ভিড়ে যায়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলোতে আসন আছে ৫ হাজার ৬০০ এবং ১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিক্যাল কলেজে ৬৫৪টি রয়েছে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ