চাঁদপুরে এবার শীত মৌসুমে ইলিশের ব্যাপক আমদানি লক্ষ করা গেলেও বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। এ কারণে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ইলিশ। চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ বড় স্টেশন মাছঘাট ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
ইলিশ নিয়ে অলস সময় পার করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম নাগালের বাইরে থাকায় ইলিশ কিনতে অনাগ্রহ তাদের। তা ছাড়া শীতে স্বাদ কম থাকায়ও অনেকেই ইলিশ কিনতে চাচ্ছেন না। এতে হতাশ বিক্রেতারা।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিন আসছে। অন্য বছর এই সময়ে আড়তে ক্রেতা থাকলেও এবার পুরো আড়ত ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ মণ বিক্রি মণ ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর এক কেজি আকৃতির ওপরের ইলিশের মণ ৪২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পুরো দেশে করোনার কারণে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এর ফলে অনেকেই জেলার বাইরে থেকে চাঁদপুরে আসছেন না। যার প্রভাব পড়েছে ইলিশ আড়তে। বিক্রেতাদের আক্ষেপ, ইলিশ, চিংড়ির চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে না। একে বিক্রি কম, তার ওপর মাছ সংরক্ষণ করতে গিয়ে খরচ হচ্ছে বেশি।
বড় স্টেশন মাছঘাটে ক্রেতা শাহ আলম বলেন, ‘চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ কিনতে এসেছিলাম, কিন্তু দাম অনেক বেশি। ইলিশের সাইজ খুবই সুন্দর। তবে দাম কিছু কম হলে ইলিশ কেনা যেত। তা ছাড়া ইলিশের স্বাদও কম শীতের মৌসুমে।’
মৎস্য ব্যবসায়ী রুবেল গাজি জানান, আড়তে বড় সাইজের ইলিশ আছে, তবে ক্রেতার চাহিদা নেই। ইলিশের দাম একটু বেশি। এ বছর মাছের আমদানি কম, দাম বেশি। প্রতিদিন ২০ হাজার বিক্রি করতে কষ্ট হয়।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি শবে বরাত সরকার বলেন, ‘বর্তমানে ইলিশের আমদানি কম, বিক্রিও কম। যার কারণে দাম একটু বেশি। জাটকা রক্ষা মৌসুম শেষ হলে ইলিশের আমদানি বাড়বে, ওই সময় দামও কমে আসবে।’