খুলনার বাজারে চালের দাম আবারও বেড়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। এদিকে সবজির দাম কমলেও কমেনি বেগুনের।
জানা গেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি কমে যাওয়ায় চালের ওপর চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে চাল আমদানি কমে যাওয়া ও নিয়মিত বাজার তদারকি না হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার খুলনা নগরীর বাজারে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। মোটা চাল ৪৬ টাকা, মাঝারি ৫৩-৫৬ এবং চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৭ টাকায়। কয়েক দিন আগেও মোটা চাল পাওয়া গেছে ৪৩-৪৪ টাকায়, মাঝারি ৫১ ও চিকন চাল ৬৩-৬৫ টাকায়।
এ ছাড়া আলু, করলা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, পুঁই শাকসহ সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে বেগুনের দাম এখনো ৬০ টাকা। রোজা শুরুর পর থেকেই বেগুনের দাম চড়া।
প্রতিবছরই রমজানে নিত্যপণ্যের দাম হু-হু করে বাড়ে। মাছ, মাংস, সবজি, তেল, চিনি, ছোলা, ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেলসহ প্রতিটি পণ্যের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। এসব পণ্য কিনতে গিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, তাঁরা বেশি দামে পণ্য কিনে সামান্য লাভে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।
চালের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে নগরীর শেখপাড়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মো. সজীব হোসেন বলেন, চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে বেড়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবা সুলতানা বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকি, দোকানে পণ্যমূল্য টাঙানো থাকলে দাম হয়তো কিছুটা সহনীয় থাকত। গত সপ্তাহ থেকে চালের দাম বেড়েছে। তেলের দাম বৃদ্ধি অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
এদিকে চালের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানি কমে যাওয়ায় চালের ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকেও চাল কম আসছে। এই সময় বোরো ধান ওঠার আগ মুহূর্তে দাম কিছুটা বেড়ে যায়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন চাল বাজারে আসা শুরু হবে। তখন দাম কমতে শুরু করবে।
এ ব্যাপারে জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি দোকানে পণ্যমূল্য টাঙানোর জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বারবার তাগিদ দেওয়ার কারণে বাজারগুলোতে পণ্যমূল্য টাঙানো বেড়েছে।