পিরোজপুর টু গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নাজিরপুর অংশের দুই পাশে ধান, খড় শুকানো হয়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
জানা যায়, প্রতিদিন অসংখ্য বাস, মালবাহী ট্রাক, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল থ্রি-হুইলার, ভ্যান-রিকশা চলাচল করে আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে। কিন্তু রাস্তার দুপাশে ধান রাখা ও মাড়াই করা ও খড়-কুটা শুকানোয় শঙ্কায় আছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা। এভাবে রাস্তার কিছু অংশ আটকে রাখার ফলে গাড়ি ওভারটেক ও চলাচলে সমস্যা হয়। স্থানীয় সচেতন মহল ও গাড়িচালকদের অভিযোগ এভাবে রাস্তা আটকিয়ে রাখলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তাঁরা।
দোলা পরিবহনের চালক মারফত আলী হাওলাদার বলেন, ‘রাস্তার অর্ধেক জুড়ে খড়-কুটো ও ধান স্তূপাকার করে রাখায় আমরা অনেক সময় ভাঙা, গর্ত কিংবা আইল্যান্ড দেখতে পাই না। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে।’
স্থানীয় কবিরাজবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পঙ্কজ কুমার হালদার বলেন, ‘মহাসড়কের কবিরাজবাড়ির সামনের অংশে খড়-কুটো থাকে। প্রশাসনের মাইকিং করে নিষেধ করা উচিত।’
নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের রুহিতলাবুনিয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ধানে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে। বৃষ্টিতেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত ধান শুকাতে বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তা ব্যবহার করেছি।’
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছি। তাঁদের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে কৃষকদের সচেতন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’