চুয়াডাঙ্গায় খুলছে বিসিক শিল্প নগরীর দ্বার। বিসিকের সকল অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এ প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে।
আর কিছু দিনের মধ্যেই বিসিক শিল্পনগরীর দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। এটি শুরু হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ১০ হাজার মানুষের।
ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্পায়নে সম্ভাবনাময় জেলা চুয়াডাঙ্গায় কোনো শিল্পাঞ্চল না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এতে ব্যবসায়ী ও নতুন উদ্যেক্তাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়।
তবে দুর্ভোগ নিরসনে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের ডিঙ্গেদহ এলাকায় ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আর বিসিক শিল্প নগরায়ণের প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের আগষ্টে।
চুয়াডাঙ্গা বিসিকের জেলা কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। তারপর থেকে ব্যবসায়িরা ও আবেদনকারি উদ্যোক্তারা প্লট নিতে পারবেন। শিল্পায়নের প্রকল্পের কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্লট নেওয়া আগ্রহী উদ্যোক্তারা আবেদন করা শুরু করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। বিসিক শিল্প নগরিতে আমরা ব্যবসায়ের সুফল পাব। এক্ষেত্রে প্লট ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। তাহলে নতুন উদ্দ্যোক্তরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসায়ে আগ্রহী হবে। এতে আর্থিকভাবে অসচ্ছলতা কাটিয়ে সচ্ছলতায় প্রাণ চঞ্চলতা ফিরে পাব। এখন শুধু চালুর অপেক্ষায় আছি।’
চুয়াডাঙ্গা শিল্প ও বণিক সমিতির পরিচালক মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় বিসিক শিল্প নগরী প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ব্যবসয়ীরাই উপকৃত হবে। জেলার শিল্পয়ান অনেক উন্নত হবে। বেকারত্ব কমে কর্মসংস্থান বাড়বে।’
শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, ‘যদি প্লট ক্রয়ের অংক সামর্থ্য ও সুবিধার মধ্যে থাকে তাহলে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাবে। তাতে সরকারের যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন হবে।’
চুয়াডাঙ্গা বিসিক শিল্প কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক সামসুজ্জামান বলেন, ‘৭৫ বিঘা জমির ওপর বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কাজ শেষ হলে ছোট বড় ১০০ শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। এখানে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’