দেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে উৎসাহিত করা সমীচীন নয়।
চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউসে গতকাল আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মাহবুব তালুকদার। চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করলে এই অবস্থা (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) থেকে উদ্ধার হতে পারি কি না। আগামীতে যাঁরা নির্বাচন কমিশনে আসবেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বিষয়টি ভেবে দেখবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ৩৬০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন পদে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৬০০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের আর মাত্র ৫৫ দিন মেয়াদ আছে। এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তার আগে আমরা আমাদের দায়িত্বটা সুসম্পন্ন করতে চাই। বাংলায় একটা কথা আছে, শেষ ভালো যাঁর, সব ভালো তাঁর। তাই শেষ ভালোর মাধ্যমে আমরা আমাদের মেয়াদকে ভালোর মধ্যে আসতে চাই।’
দায়িত্ব পালনে এ কমিশন সফল কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘এটি একেকজনের কাছে একেক রকম অনুভূতি। আমার অনুভূতি এক রকম, আমার অন্য সহকর্মীদের অনুভূতি আরেক রকম। আমাদের ব্যক্তিগত অনুভূতি এখানে মূল্যায়ন করা উচিত নয়। আমি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি। তারা যেটা মনে করে, আমিও সেটাই মনে করি। এ বিষয়ে এককভাবে আমি কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না।’
বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।