হোম > ছাপা সংস্করণ

নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি

আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মধুপুর

মধুপুরের তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দুই ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও অপরটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। দুটি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবু ইউপি নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আলোকদিয়া ইউনিয়নের মাঝিরা গ্রামের শতায়ু তৈয়ম আলী, রানিয়াদ গ্রামের ৯২ বছর বয়সী ডলিমন সুন্দরভাবেই ভোট প্রয়োগ করতে পেরেছেন। দিগরবাইদের রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দিবার পারছি, এই আমার জন্য জয়। এটা গণতন্ত্রের জয়। কে পাস ফেল করল, আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমি আমার পছন্দের প্রার্থীরে ভোট দিতে পারছি, এটাই বড় কথা।’

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি ইউপিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৬৮৮। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ২১৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বাতিল হয়েছে ৯৮৫ ভোট। চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ৮ জন, নারী সদস্য প্রার্থী ছিলেন ৩০ জন ও সদস্য প্রার্থী ১১১ জন।

সবচেয়ে উপভোগ্য নির্বাচন হয়েছে আলোকদিয়া ইউপিতে। এই ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাঈদ তালুকদার দুলাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা আবু সাইদ খান সিদ্দিকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। নির্বাচনের দিন অনেক নেতা-কর্মী নৌকার ব্যাজ ধারণ করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন ও ভোট দিয়েছেন।

এই দুই প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছায়া থাকায় তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করেন। তাঁরা ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য গ্রামে গ্রামে দৌড়ঝাঁপ করেন নিশ্চিন্তে। কোথাও কোনো ধরনের বাধার মুখোমুখি হননি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বোরহানও নির্বাচনে জয়ের চেষ্টা করেছেন। ভোটাররাও কেন্দ্রে এসে নিশ্চিন্তে ভোট প্রয়োগ করেছেন। আগের নির্বাচনগুলোতে ভোট দেখিয়ে দেওয়ার জন্য এজেন্টদের চাপাচাপি ছিল লক্ষণীয়। এবারের নির্বাচনে তাঁর কোনো ছিটেফোঁটা অভিযোগও এই ইউপিতে পাওয়া যায়নি। এখানে ১০টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৫৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

গোলাবাড়ি ও মির্জাবাড়ি ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে গোলাম মোস্তফা খান বাবলু ও সাদিকুল ইসলাম নির্ভার হয়ে যান। যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতেন, তাহলে নবনির্বাচিত দুই চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার তকমা লাগাতে পারতেন।

ওই দুই ইউনিয়নের নারী সদস্য প্রার্থী ও সদস্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে পছন্দের প্রার্থী বাছাই করার প্রয়োজনে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছেন। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় নৌকা প্রতীকেও ভোট দিয়েছেন সমানতালে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে আলোকদিয়া ইউপিতে ৭৪ দশমিক ৮২, মির্জাবাড়ি ইউপিতে ৭৩ দশমিক ৫০ ও গোলাবাড়ি ইউপিতে ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোটার ভোট দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলেই সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ নজরদারি রাখে। প্রার্থী, ভোটার ও গণমাধ্যমকর্মীরাও সহযোগিতা করেন। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ