ঢাকার সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে মামলা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহমেদ। এতে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসেইন খান, সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফখর উদ্দিন শিকদার ও নৌকা প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থী শাহাব উদ্দিনকে আসামি করেছেন।
এ মামলায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। তবে সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাই আশুলিয়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে এ মামলার বিষয়ে জানিয়েছেন রাজু আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে রাজু আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের দিন শাহাব উদ্দিন মাদবর ২০০-২৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে কেন্দ্রে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। আমার এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে জাল ভোট দিতে থাকেন। তারা মৃত ব্যক্তির নামের ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে দেন। আমি তৎক্ষণাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
রাজু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাব উদ্দিন মাদবরকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে এবং গত ২৫ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করেছে। আমি কোনো পর্যায়েই প্রতিকার না পেয়ে প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছি। যার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মোকদ্দমা নম্বর ০২ / ২০২২। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আশুলিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৮ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন শাহাব উদ্দিন মাদবর। আনারস প্রতীকের রাজু আহমেদ পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৮৫৪ ভোট।