লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বুড়িমারী স্থলবন্দর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মুখোমুখি দুটি গাছ হেলে পড়েছে। এতে বড় গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। গাছ দুটি না কাটায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারামারা গ্রামের ঘুণ্টি এলাকায় অনেক দিন ধরে রেইনট্রি দুটি মুখোমুখি হেলে পড়েছে। এতে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের সময় গাছ দুটিতে লেগে গাছ ক্ষয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেক সময় পণ্য ঢেকে নিয়ে যাওয়ার সময় পণ্যসামগ্রীতে লেগে ক্ষতি হয়। এতে গাড়িচালকদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
জানা গেছে, ওই মহাসড়কের পাশের গাছগুলো লালমনিরহাট জেলা পরিষদের মালিকানাধীন। সড়কের পাশের বেশ কিছু গাছ কাটা হলেও এ ধরনের কিছু গাছ কাটা হয়নি। এক যুগের বেশি সময় ধরে এই গাছ দুটি হেলে থাকায় গাড়ি পাশ কাটাতে গিয়ে গাছের সঙ্গে লেগে যায়। এভাবে লেগে গাছ দুটি ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা থেকে অটো-চার্জার, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকেও পণ্যবাহী গাড়ি, কাভার্ড ভ্যান, দূরপাল্লার কোচ ছেড়ে আসে। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ কারণে গাড়িচালক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের শঙ্কা, যেকোনো সময় গাছ ভেঙে পড়ে গাড়ি ও সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।
বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের ঘুণ্টি এলাকার মমিনুর রহমান বলেন, গাছ দুটি অনেক বছর ধরে হেলে রয়েছে। সাধারণ মানুষ মহাসড়ক দিয়ে ভয়ে ভয়ে চলাচল করে।
রংপুর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য আসা ট্রাকচালক কালাম হোসেন বলেন, রেইনট্রি গাছ দুটি যেভাবে মুখোমুখি হেলে পড়েছে, এতে গাছের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে থাকতে হয়। গাছ দুটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেটে নেওয়া খুবই জরুরি। গাড়িচালকেরা ব্যবসায়ীদের অনেকবার বলেছেন, তা-ও কাটা হচ্ছে না।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের মেসার্স তুলসী ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রনি নাহা বলেন, ‘মহাসড়কে গাছ হেলে যাওয়ায় ট্রাকচালকেরা পণ্য নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন। গাড়ির সঙ্গে লেগে যায়, পণ্যের ক্ষতি হয়। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ লালমনিরহাটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বলেন, সড়কের দুই দিকে এ ধরনের পুরোনো গাছ অপসারণ করতে ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গাছ সরানোর দায়িত্ব জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের। আবারও জানানো হবে।