কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১০ জন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৃধারমোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কালকিনি থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্মীপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হকের স্ত্রী মৌসুমী সুলতানা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন। এ নির্বাচনে বিজয়ী হন মৌসুমী সুলতানা। এরপর থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
বিরোধের জের ধরে মৌসুমী সুলতানার কর্মী-সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র নিয়ে শুক্রবার রাতে প্রতিপক্ষের বসতঘরে হামলা চালান। হামলায় পরাজিত প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেনের সমর্থক খোকন, শাজাহান ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মাস্টারের বাড়িসহ ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে ১০ জন আহত হন।
পরাজিত প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘মৌসুমী সুলতানার স্বামী ফজলুল হকের নির্দেশে রাতের আঁধারে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এর আগেও তাঁর নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। পুলিশ বিষয়গুলো জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
অভিযোগের বিষয়ে ফজলুল হক বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হয়নি। অন্য কারণে এই হামলা হতে পারে। তবে এর সঙ্গে আমার কোনো নেতা-কর্মী জড়িত না। নির্বাচনে পরাজয়ের পরে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে নানা কারণে মারামারি করে যাচ্ছে।’
কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি।’