হোম > ছাপা সংস্করণ

১০ তলা ভবনের পাশ দিয়েই হবে সড়ক

তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাকলিয়া সংযোগ সড়কের প্রস্তাবিত জায়গার ওপর গড়ে ওঠা ১০ তলা ভবন নিয়ে গত তিন বছরে কম জলঘোলা হয়নি। এ জটিলতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন সড়কটির ৩০০ মিটার অংশের নির্মাণকাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে কাটল সেই জটিলতা। এখন ভবন না ভেঙে পাশের রাস্তা ধরেই নির্মাণ হবে সড়কটি।

গত বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বাকলিয়া সংযোগ সড়কের নতুন নকশা অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। এখন তা শুরু পরিকল্পনামন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে সিরাজউদ্দৌলা সড়ক থেকে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের নতুন এ রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথমে প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়। তবে চার দফায় সময় বাড়িয়ে তা আগামী বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। সময় যেমন বেড়েছে, বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়ও। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ২০৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়।

নির্মাণকাজের শুরুতেই সিডিএ বাধার মুখে পড়ে। প্রস্তাবিত জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে আছে ‘বাবে ইউসুফ’ নামের ১০ তলা একটি ভবন। নগরের ডিসি রোড এলাকায় ভবনটি নির্মাণ করে হাজী চান্দমিয়া সওদাগর ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। সে ভবনের কারণেই ২০১৯ সালের শুরুতে ৩০০ মিটার অংশের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। একই কারণে সড়কের বাকি অংশের কাজ ধীর গতিতে চলছিল।

মালিকপক্ষকে ১১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সিডিএ ভবনটি ভেঙে সড়কের কাজ শুরু করার দিকে এগোচ্ছিল। তবে এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে সিডিএ। কমিটির অনুসন্ধানে সিডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে ১০ তলা ভবনটির নকশা অনুমোদিত হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। কমিটি অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ওই ভবনটি না ভেঙে পাশের জায়গা দিয়ে সড়ক নির্মাণের সুপারিশ করে।

এরপর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একটি বিশেষজ্ঞ দল নতুন নকশা প্রণয়ন করে। সেই নকশাটি পরিকল্পনা কমিশনের সভায় অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, ‘ভবনটির পাশ দিয়েই সড়কটি নির্মাণ করা হবে। পাশের সেই জায়গাটি খালি আছে। তবে জায়গাটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। সেটি অধিগ্রহণ করে সড়কটি নির্মাণ করা হবে।’

বেড়েছে ব্যয়: ১০ তলা ভবনটি ভাঙতে না হওয়ায় সিডিএর সাশ্রয় হয়েছে ১১ কোটি টাকা। অবকাঠামোগত ক্ষতিপূরণ দিতে না হলেও উল্টো বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়। কারণ এখন ভবনের পাশের জমিটি অধিগ্রহণ করতে হবে ৫ কোটি টাকায়। পাশাপাশি সেতু নির্মাণ খাতে ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, সংযোগ সড়কে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, সৌন্দর্যবর্ধনে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ বেড়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ