হোম > ছাপা সংস্করণ

রেলের যন্ত্রাংশ উধাও

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

অপরিকল্পিতভাবে পণ্য খালাসের কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের লেক লাইনের যন্ত্রাংশ উধাও হয়েছে। কাঠের স্লিপার ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক লুপ লাইন। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে পণ্য বোঝাই ওয়াগনগুলো এসব লাইনে নেওয়া হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ও গুডস হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রেলওয়ে প্রকৌশলীর।

সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহপ্রকৌশলী সুলতান মৃধা আজকের পত্রিকাকে জানান, স্টেশনের ৫ নম্বর লুপ লাইনটি পাথর আনলোড ও ভেকু ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও পাথর আনলোডে ভেকু ব্যবহার করায় লুপ লাইনের প্রায় দেড় শতাধিক কাঠের স্লিপারের দুই পাশের বর্ধিতাংশ ভেঙে গেছে। এতে লুপ লাইনটিকে ওয়াগন প্রবেশের অনুপযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টারকে অবগত করা হলেও তিনি ঝুঁকি নিয়ে পাথরের ওয়াগন ওই লুপ লাইনে প্রবেশ করাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

প্রকৌশলী সুলতান মৃধা আরও জানান, ভেকু দিয়ে পাথর আনলোডের কারণে লুপ লাইনের পাশে লেক লাইনটি অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই লাইনের প্রায় ১০০ ফুটের মধ্যে কোনো টানা রড ও ডিউ ব্লকের অস্তিত্ব নেই। এতে লেক লাইনের দুটি রেলপাত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় চুরি হয়ে যেতে পারে রেলপাত দুটি। এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টারকে পরপর আটবার চিঠি পাঠিয়ে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা এই পথে পাথর আমদানি করছেন। পাথরের ওয়াগনগুলো নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে এনে তা আনলোড করা হয়। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক ওয়াগন থেকে ভারতীয় পাথর আনলোড করা হয়েছে এই স্টেশনে।

কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে ও অদক্ষ শ্রমিকের মাধ্যমে দিন-রাত পাথর আনলোড করায় রেললাইন (ট্রাক) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাথরগুলো রেলপথের ওপর ফেলে দেওয়ার পর আমদানিকারকেরা ভেকু মেশিন দিয়ে তা পণ্যবাহী ট্রাকে লোড করছেন। এতে রেলপথের দু’পাশের মাটিসহ কাঠের স্লিপার ও রেল পাতের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হয়েছে। চুরি হয়ে গেছে অর্ধ শতাধিক টানা রড ও ডিউ ব্লক।

সৈয়দপুর স্টেশনের পণ্যবাহী ট্রেনের মালামাল আনলোডের শ্রমিকদের সর্দার আফতাব আলম জানান, নির্দিষ্ট সময়ে ওয়াগনের মালামাল খালাস করতে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে দিনরাত কাজ করতে হয়। ওয়াগন খালি করা তাঁদের কাজ, রেলের ক্ষতি তাঁরা করছেন না। রেলের যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়টি তাঁরা জানেন না বলে জানান আফতাব আলম।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের হাবিলদার মোহাম্মদ এরশাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, এ স্টেশনে সাতজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন, যা যথেষ্ট নয়। এদিকে, শ্রমিকেরা অবৈধভাবে রাতের বেলায় ওয়াগন থেকে মালামাল খালাস করছেন স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ও গুডস ক্লার্ককে বারবার বলা সত্ত্বেও মালামাল ভর্তি ওয়াগনের হিসেব বা ছাড়পত্র নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া হচ্ছে না।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শওকত আলী বলেন, ‘লেক লাইনটি প্রায় ২৫ বছর ধরে মেরামত করা হয়নি। এ লাইনে কোনো মালামাল খালাস করা হয় না। রেলের যন্ত্রাংশ বা রেলপাতের ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়ে প্রকৌশলীর অভিযোগটি সত্য নয়। এ ছাড়া চলাচলের অনুপযোগী লুপ লাইনটিকে মাটি ও ইটের টুকরো দিয়ে উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তাই ওই রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন প্রবেশ করানো নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’

শওকত আলী আরও বলেন, ‘খাদ্যপণ্যের ওয়াগন চুরি হতে পারে-এ কারণে রাতের বেলায় খালাস করা হয় না। কিন্তু পাথরের ওয়াগন খালাসে কোনো বাধা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ