‘অসুস্থ স্ত্রীর দেখাশোনা করার লোক নেই, নিজেকে করতে হয়। সপ্তাহে তিন হাজার টাকার ওষুধ খেতে হচ্ছে। আর আমার স্ত্রীর সুস্থ হতে চার মাস ওষুধ খেতে হবে।
স্ত্রীকে দেখাশোনার জন্য কাজে যেতে পারচি না। এ কারণে ওষুধ কেনা ও সংসার খরচের টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্চি।’ কথাগুলো বলেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা এসহাক আলী।
১৫ দিন আগে বিভিন্ন লোকের অর্থ সহযোগিতায় রংপুরের একটি ক্লিনিকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে স্ত্রী মফিজা বেগমের জরায়ুর মুখের টিউমার অপারেশন করান। অপারেশনের পর স্ত্রীর ওষুধ ও নিজেদের সংসারের খরচ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সহায় সম্বলহীন এসহাক।
জানা গেছে, নিজেদের বলতে এই দম্পতির কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে অন্যের জমিতে টিনের চালা তুলে বসবাস করছেন তাঁরা। এসহাক গ্রামে গ্রামে কটকটি বিক্রি করে সংসার চালান। অসুস্থ স্ত্রীর দেখভাল করার কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ কাজে যেতে পারেন না।
ফলে স্ত্রীর ওষুধ কেনার টাকা ও সংসারের খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। তবে তাঁদের এক ছেলে রয়েছে, তিনি স্ত্রী নিয়ে ঢাকায় থাকেন।
এসহাক আলী বলেন, ‘ওষুধ কেনা ও সংসারের খরচের টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্চি।’