দুর্ঘটনা যে কোনো স্থাপনায় ঘটতে পারে। সীতাকুণ্ডের আইসিডির মতো কাছাকাছি ধরনের বিস্ফোরণ এর আগে দুবাই বন্দরে নোঙর করা একটি কনটেইনার জাহাজে হয়েছে গত বছর। তার আগের বছর বৈরুত বন্দরে ঘটেছে। ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক পদার্থের গুদামে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সমস্যা হলো এসব বিস্ফোরণ থেকে আমরা কিছুই শিখিনি।
রাসায়নিক পদার্থ থাকলে ঝুঁকি বেশি থাকবেই। সে ক্ষেত্রে সাধারণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চললে এবং সে জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকলে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোগুলোয় (আইসিডি) প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি অনেকখানি কমানো যেত।
আরেকটি বিষয় হলো, একই আইসিডিতে সাধারণ পণ্যের সঙ্গে রাসায়নিক পদার্থসহ অতি দাহ্য পণ্য রাখা ও বহন করা অতি বিপজ্জনক ব্যাপার। আমদানি ও রপ্তানি যা-ই হোক না কেন, প্রতিটি চালানে কী আছে, তা কনটেইনার বা অন্য যে কোনো প্রক্রিয়ায় আনা-নেওয়া করা হোক না কেন, আগাম ঘোষণা দেওয়া থাকে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা থাকে কোন কনটেইনারে কী আছে। কাজেই শুরুতেই পণ্য ও ঝুঁকির মাত্রা ভেদে আলাদা আলাদা আইসিডিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু চট্টগ্রামে যত্রতত্র আইসিডি গড়ে তোলা হয়েছে এবং প্রায় সব আইসিডিতে সব রকম পণ্য রাখা হয়ে থাকে। এটা খুব বিপজ্জনক।
লেখক: শিক্ষক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়