বরিশাল বাবুগঞ্জের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। সরিষা ফুলের হলুদ রঙের আভায় ছেয়ে গেছে গোটা ফসলের মাঠ। বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জাওয়াদের প্রভাবে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন সরিষা চাষিরা। তবে যথাসময়ে সরিষা ঘরে তুলতে পারলে ও ভালো দাম পেলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া (বোয়ালিয়া) গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সরিষাখেত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশাল এক হলুদের চাদরে ঢেকে আছে ফসলের মাঠ।
সরিষাচাষি সুমন হাওলাদার বলেন, সরিষা চাষে শ্রম ও খরচ দুই-ই কম। তাই সরিষা চাষ করেছি। তবে এ বছর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, সরিষা এবার ভালোই হইছিল। মাঝে টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি মজে অনেক গাছ মরে গেছে। তাই এবার সরিষা কম উৎপাদন হবে।
তবে অনেক চাষিই আশা করছেন শেষ পর্যন্ত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হয়েছে।
গত বছর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫০ হেক্টর। আবাদ হয়েছিল ২৯০ হেক্টর। সরিষা উৎপাদন হয়েছিল ৩৮১ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি ১ দশমিক ৩ মেট্রিক টন করে সরিষা উৎপাদন হয়েছিল।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন জানান, জাওয়াদের প্রভাবে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই লক্ষ মাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। তবে আশা করছেন এ বছর সরিষা উৎপাদন ভালো হবে।