দারিদ্র্য, সহিংসতা এবং মহামারির প্রথম শিকার হয় নারী ও মেয়ে শিশু বলে উল্লেখ করেছেন বক্তারা। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আর্টিকেল নাইনটিন ‘জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা এবং নারীর প্রতি পদ্ধতিগত সহিংসতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও অধিকারকর্মীরা এতে অংশ নেন। সরকারিভাবে এ বছর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের (২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর) প্রতিপাদ্য করা হয়েছে, ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি; কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’।
আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন,‘জেন্ডার সহিংসতার ঘটনা রিপোর্টিংয়ে গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এ জন্য রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের জেন্ডার সংবেদনশীল ভাষার ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণও প্রয়োজন।’
দক্ষিণ এশীয় নারীবাদী অধিকারকর্মীদের নেটওয়ার্ক ‘সাংগাতের’ কোর গ্রুপ মেম্বার ফওজিয়া খোন্দকার ইভাফওজিয়া খোন্দকার ইভা বলেন, ‘পুরুষতন্ত্র নারীর শত্রু, পুরুষ নন। পুরুষতান্ত্রিক ধ্যানধারণার কারণে দারিদ্র্য, সহিংসতা এবং মহামারির প্রথম শিকার হয় নারী ও মেয়ে শিশু। এই ধারা ভেঙে দিতে সবাইকে, বিশেষত গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।’ চলচ্চিত্রনির্মাতা অপরাজিতা সংগীতা বলেন, ‘নাটক-সিনেমায় ট্রান্সজেন্ডার চরিত্রকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নিগ্ধা রেজওয়ানাও বক্তৃতা করেন।