হোম > ছাপা সংস্করণ

দখলে ঢাকা নগর ভবন

খান রফিক, বরিশাল

নগর ভবনের দুই পাশের প্রধান দুই সড়ক দখল করে গজিয়ে উঠেছে দেড় শতাধিক ভাসমান দোকান। শীতের শুরুতে টং ঘরের মতো এসব অবৈধ দোকানপাট রাস্তা দখল করে থাকায় দিনরাত যানজট লেগেই আছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় সড়ক দখল করে এসব ভাসমান দোকান গড়ে উঠেছে। ফলে সৌন্দর্যহানি ঘটছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ঠিকানা নগরভবন এবং কালেক্টরেট পুকুরের। বিসিসি মানবিক কারণের দোহাই দিলেও, সংশ্লিষ্টরা মনে করেন এতে নগরজীবন স্থবির হয়ে পড়ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নগর ভবনের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ এবং জেলা পরিষদের গেট পর্যন্ত দুটি সড়কের মধ্যে দেড় থেকে দুশ ভ্যানগাড়ির ভাসমান টং দোকান উঠেছে। শীতের কাপড় থেকে শুরু করে নানা ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। কথা হয় সেখানকার একাধিক ভাসমান দোকানির সঙ্গে। অধিকাংশই নগরীর বাইরের এলাকা থেকে আসা। মৌসুম এলেই নগরভবনের সামনে ব্যবসা পেতে বসেন বলে জানান দোকানিরা। এখানে দোকান দিতে কোনো পক্ষকে খরচ দিয়ে হয় কি না এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, এটি নেতারা জানেন। তবে কে নেতা, কোথার নেতা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাতের আধারে ‘বখশিষের’ প্রচলন আছে ভাসমান দোকান ঘিরে।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, নগরে উদ্বাস্তু সংখ্যা বাড়ছেই। সাম্প্রতিক সময়ে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিচ্ছে। তার ওপর রাস্তা দখল করে মৌসুমি ব্যবসা নগর জীবন পঙ্গু করে দিয়েছে। একদিকে জনভোগান্তি অপরদিকে রাস্তার ওপর ব্যবসা। নগরবাসীর সেবার কেন্দ্রস্থল নগরভবনের সৌন্দর্য এতে নষ্ট হচ্ছে। যেভাবে অবৈধ দোকানপাটে নগরের ওপর চাপ বাড়ছে তাতে এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পাড়লে ভবিষ্যতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তাঁরা এখানে যে রাস্তা দখল করে আছে, কীভাবে, কোন শক্তিতে তা খতিয়ে দেখা দরকার।

জানতে চাইলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম (শহর ও যানবাহন) বলেন, নগর ভবনের মোড়ে সড়কের ওপর অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা শতাধিক দোকানঘর স্থাপিত করেছেন। নগরের এ অংশে যানজটের অন্যতম কারণ ভাসমান দোকানগুলো। কিছুদিন আগে ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে ঠিক মোড়ে স্থাপিত ১৫টি অস্থায়ী দোকান ঘর উচ্ছেদ করেছিলেন। উচ্ছেদের ২-৩ দিন পর আবার একই স্থানে দোকাগুলো বসে যায়। তারা দোকানগুলো ফুটপাথ ছেড়ে সংলগ্ন জেলা পরিষদের উঁচু স্থানে স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু মানা হয়নি। বিষয়টি নগর ভবনের সামনে হওয়ায় ট্রাফিক বিভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শক্তি প্রয়োগ করছেন না বলে জানান এ পুলিশ পরিদর্শক।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, যানজটে নগরে হাঁটা কঠিন। কেন এত যানজট এ বিষয়ে নগরভবনের সামনে সড়ক দখল করে অবৈধ দোকানপাটের কথাই বললেন। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেজিস্ট্রেসী পাওয়ার আছে। তারা কেন সড়ক দখলকারীদের উচ্ছেদ করছে না। তা ছাড়া সিটি করপোরেশন তো কীর্তনখোলার তীরে বিশাল সিটি মার্কেট করে নিল। এখন আবার কেন রাস্তা দখলের সুযোগ করে দেয় ভাসমান দোকানিদের। এতে কালেক্টরেট পুকুর ও নগরভবনের সৌন্দর্যহানি ঘটছে। এটা নিয়ে কথা বলা দরকার। কেন না হকাররা রাস্তা দখল করেছে রাজনীতিক লোকজনের ছত্র ছায়ায়। বিসিসি যদি নগরভবনের সামনের সড়ক দখলকে মানবিক বিষয় মনে করে তাহলে অবৈধ দখলবাজ দোকানিরা এক সময় নগরভবনের ভেতরে ঢুকে যাবে।

এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহান সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে দখলদার হলেও মানবিক কারণে অবৈধ ভাসমান দোকানিদের উচ্ছেদ করছেন না। তাদের বিকল্প স্থানে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে জনদুর্ভোগ এড়াতে মাঝে মাঝে সড়ক পরিদর্শক পাঠিয়ে তদারকি করা হয়। এদের সঙ্গে বিসিসির কোন আর্থিক সম্পর্ক নাই বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ