শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে সরকারি ২০ শতক খাসজমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার বেলা ১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কর্মকর্তারা এ জমি উদ্ধার করে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পান্ডব দাস দীর্ঘদিন ধরে খাস জায়গা দখল করে দোকান ঘর তৈরি করেন। এ ছাড়াও পাকা বিল্ডিং তৈরি করে ভবন নির্মাণ করেছেন। এই ভবন নির্মাণে স্থানীয়রা বাধা দিলেও তিনি শোনেননি। পরে স্থানীয়দের পক্ষে রাখাল দাস বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাস জায়গা চিহ্নিত করে পাকা ভবন ও পুরোনো দোকান ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিনের সময় দেন। আর সার্ভেয়ার লাল নিশান দিয়ে জায়গা নির্ধারণ করে আসেন। সময়সীমা অতিক্রম হলে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে বলে পান্ডব দাসকে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, বন্দোবস্ত না নিয়ে সরকারি জায়গা দখল করা হয়। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর দখলদারের কাছ থেকে সরকারি জায়গা উদ্ধার করি। ১৫ দিনের মধ্যে সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।