পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে নিখোঁজ কলেজছাত্র নাইমুল ইসলাম হৃদয়কে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর মোড়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
রূপপুরে লালন শাহ সেতু সংযোগ মোড় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য বাবু মণ্ডল, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সুলতান, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুজ জামান পিন্টু প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান। না হলে আবারও প্রতিবাদ সমাবেশসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
উপজেলার নতুন রূপপুর গ্রামের মজনু মোল্লার ছেলে ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে মাস্টার্সের ছাত্র নাইমুল ইসলাম হৃদয় ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন। ওই দিন দুপুরেই হৃদয়ের পরিবারের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। হৃদয়ের বাবা রাতেই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তা মামলায় রুজু হয়। এদিকে তিন দিন পর গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া নওদাপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির কক্ষের মেঝে খুঁড়ে কলেজছাত্র হৃদয়ের ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হৃদয়ের মাথা, হাত-পা ও দেহ কেটে ১০ টুকরো করা হয়।
এর আগে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ব্যক্তির নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ ইসমাইল ওরফে হাসান (৪৫)। তিনি পাবনার পৈলানপুর সবেদা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কলেজছাত্র হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আসামি হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মামলায় তাঁকে প্রধান আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে পুলিশ তদন্ত করে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করবে।’