ঝগড়ায় ইট নিক্ষেপ আঘাতে নারীর মৃত্যুবরিশাল নগরে প্রতিপক্ষের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আতিয়া খানম (৪২) নামে ওই নারী নগরের কাশিপুর ফিসারী রোড এলাকার ভাড়া থাকতেন। পরিবার দাবি করেছে, বাড়ি নির্মাণে চাঁদা না দেওয়ায় ওই নারীকে ইট মারা হয়। এতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে গতকাল সোমবার হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরিবার দাবি করেছে, বাড়ি নির্মাণে চাঁদা না দেওয়ায় নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে আতিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে গতকাল সোমবার হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত আতিয়া খানম সাবেক সেনাসদস্য গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী। সার্জেন্ট (অব.) মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারী রোড এলাকায় বাড়ি করতে গিয়ে পরিচয় হয় সাবেক কাউন্সিলরের দুই ভাই হুমায়ুন কবির ও তৌহিদুল ইসলাম মুন্নার সঙ্গে। রোববার হঠাৎ করে তৌহিদুল ইসলাম মুন্না আমাকে বকাঝকা শুরু করে এবং তাঁর স্ত্রীকে আমি ফোন দিয়েছি বলে অভিযোগ আনে। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে একটি ইট নিক্ষেপ করে তৌহিদুল ইসলাম মুন্না। ওই ইট আমার স্ত্রীর মাথায় লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ মো. গিয়াস উদ্দীন দাবি করেন, বাড়ি নির্মাণ করার জন্য চাঁদা দাবির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আতিয়ার মেয়ে আফরিন বলেন, ‘আমার মা আতিয়া খানমকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান।’ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের না পাওয়ায় ও ফোন না ধরায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ২ ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার শুভ ওঝা বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা গেছেন ভদ্রমহিলা। তার মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি, তা ছাড়া তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দীনের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির ও তৌহিদুল ইসলাম মুন্নাসহ ৪ আসামি আত্মগোপনে আছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।