হোম > ছাপা সংস্করণ

সন্তানের গুণের প্রশংসা করুন

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৮ বছর। এর মধ্যে আমার পেট বাড়ছে। শরীর ফিট রাখতে পারছি না। কী করতে পারি এ ক্ষেত্রে?

রিয়া আক্তার, চট্টগ্রাম

আপনার অন্য কোনো অসুখ, যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আছে কি না, সেটা জানাননি। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কোনো ওষুধ, যেমন—হোমিওপ্যাথি বা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করার ইতিহাস আছে কি না সেটাও জানাননি। এগুলো অনেক সময় ওজন বাড়ার কারণ হয়ে থাকে। আপনার বিএমআই হিসাব করে বিএমআইয়ের প্রকারভেদ নির্ণয় করতে হবে। ওজন বেশি হলে উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন ধরে রাখতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন। নিয়মিত কিছু ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং ইত্যাদি করুন। তবে যদি কোনো অসুখের বা ওষুধ সেবনের ইতিহাস থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডা. নাজমা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক, হরমোন ও মেটাবলিজম বিশেষজ্ঞ, মার্কস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

প্রশ্ন: আমার চোখের পাতার ওপরে পাপড়ির ধার ঘেঁষে ছোট ছোট র‍্যাশের মতো আছে। এগুলো বড়ও হয় না, আবার চলেও যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে চোখের নিচের পাপড়ির ধার ঘেঁষেও দু-একটা ছোট র‍্যাশ হয়। সেগুলো তুলা দিয়ে ঘষা দিলে সাদাটে তরল বের হয়। এগুলো কিসের সমস্যা? ঘরোয়া প্রতিকার আছে কি?

শাহনাজ সুলতানা, মাদারীপুর 

চোখের পাপড়ির গোড়ায় মেবোমিয়ান গ্ল্যান্ড নামের একধরনের গ্রন্থি থাকে, যা থেকে একধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয়। এগুলো চোখের আর্দ্রতা রক্ষা করে। পাপড়ির গোড়ায় খুশকি কিংবা ধুলাবালি ক্রমাগত জমতে থাকলে অনেক সময় এই গ্রন্থিগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন এই সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন বেলা কুসুম গরম পানিতে নরম তুলা কিংবা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে চোখের ওপরের ও নিচের পাতায় পাপড়ির গোড়ায় নিয়মিত গরম সেঁক দেবেন ৫ থেকে ১০ মিনিট। এভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ করবেন। চোখের পাতা পরিষ্কার রাখবেন। চুলে খুশকি হওয়ার প্রবণতা থাকলে নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। এতেও অবস্থার উন্নতি 
না হলে নিকটস্থ কোনো চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। 

ডা. মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার, কনসালট্যান্ট, আঞ্জুমান ভিশন কেয়ার, চট্টগ্রাম

প্রশ্ন: আমি গৃহিণী। আমার দুই মেয়ে। দুজনেই ছোট। বড় মেয়েটি একটি স্বনামধন্য স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ইদানীং সবার কাছ থেকে একটু দূরে দূরে থাকে। দুপুরে যখন সবাই ঘুমায়, তখন সে নিজের মতো একা সময় কাটায়। ধীরে ধীরে চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই মুড অফ হয়ে যায়। কিছু জিজ্ঞেস করলে রেগে যায়, কেঁদে ফেলে কখনো কখনো। বুঝতে পারছি না কী হয়েছে। ওর বয়স সাড়ে আট বছর। পিরিয়ড হওয়ার সময়ও তো হয়নি যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন হবে। কী করতে পারি?

নাসরিন আক্তার, ঢাকা  

আপনার মেয়ে বর্তমানে কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—বিষয়টি আপনি লক্ষ করেছেন, এটা ভালো দিক। এ পরিস্থিতিতে আপনি ভেঙে না পড়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। সে কোনো মানসিক আঘাত, মানসিক চাপ বা নতুন কোনো পরিবেশের কারণে এমন করছে কি না, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাকে চাপ দিয়ে কথা বলবেন না। তাকে বোঝাতে হবে, মা হিসেবে আপনি তার কষ্ট, দুশ্চিন্তা, সমস্যা বুঝতে পারছেন এবং তাকে সাহায্য করতে চেষ্টা করছেন। আপনার সন্তানের ভালো গুণগুলো চিহ্নিত করুন, তাকে উৎসাহিত করুন। বন্ধুবান্ধব বা স্বজনদের সামনে তার গুণগুলোর প্রশংসা করতে পারেন। ধীরে ধীরে তাকে বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজনদের সঙ্গে মিশতে সহযোগিতা করতে  পারেন। এ ছাড়া মানসিক রোগজনিত বা মনস্তাত্ত্বিক কারণে শিশু চুপচাপ বা কথা বলা বন্ধ করল কি না, তা নির্ণয়ে মনোবিজ্ঞানী বা  মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে পারেন।

নাইমা ইসলাম অন্তরা, সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ