নোয়াখালীর চাটখিলে ময়লা-আবর্জনার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। পৌর এলাকার বীরেন্দ্র খালের ওপর নির্মিত ৪টি সেতুর নিচে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এক বছর আগে এ খালের ওপর ১২টি দোকান ও ঘর ধসে পড়ে। এসবও সেখান থেকে সরানো হয়নি। যে কারণে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এতে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি ছড়াচ্ছে।
পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনগাজী ব্যাপারি বাড়ির সামনে থেকে রাজধানী হোটেলের পূর্ব পাশের সেতু পর্যন্ত বীরেন্দ্র খালের ওপর পরপর ৪টি সেতু রয়েছে। গত বছরের বর্ষাকালে মনগাজী ব্যাপারী বাড়ির সামনে বীরেন্দ্র খালের উত্তরে রাস্তার পাশের ১২টি দোকান ও ঘর খালের ওপর ধসে পড়ে। দীর্ঘ এক বছর পার হলেও দোকানগুলো খাল থেকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে খালের পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চাটখিল পৌর বাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন ও মাঈন উদ্দিন শেখের অভিযোগ, পৌর বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসব ময়লা-ময়লা আবর্জনা ফেলেন। তাঁদের নিষেধ করলে খারাপ আচরণ করেন। এ ছাড়া পৌর শহরের হোটেলগুলোর বর্জ্যও এখানে ফেলা হয়।
সোমপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ ও নাগরিক কোরামের সভাপতি মহি উদ্দিন বলেন, আবর্জনার স্তূপের কারণে ভীমপুর হাইস্কুল, কারিগরি কলেজ ও চাটখিল কামিল মাদ্রাসাসহ পৌর বাজার এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
চাটখিল পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টির চাপ কমলেই খালের বর্জ্য সরানো হবে, তবে খালে পড়া দোকান আমাদের বিষয় নয়, সেগুলো জেলা পরিষদের।’
ইউএনও এ. এস. এম মোসা বলেন, সেতুর নিচে ময়লা-আবর্জনা আমাদের দেখার বিষয় না, এসব দেখবে জেলা পরিষদ। খালের দোকানগুলো সরানোর দায়িত্বও তাঁদের।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম বলেন, শিগগিরই খাল থেকে ধসে পড়া দোকানগুলো সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।