বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা ও জয়ন্তিকা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। হিজলা উপজেলা মৎস্য দপ্তর, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের নদীতে ডিউটি নিয়েও রয়েছে সহরিনাথপুর ইউনিয়নে চর আবুপুর ও আশুলী আবুপুরে রাস্তার ওপর মা ইলিশ কেনা বেচার হাট বসে। সেখান থেকে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন এসে মা ইলিশ কেনে।
চর আবুপুর মা ইলিশ বিক্রি সম্পর্কে এখানকার মা ইলিশ চক্রের সদস্য বলে পরিচিত, সিরাজ মৃধাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘আমি কোনো জেলে থেকে টাকা নিইনি। তবে আমার নাম করে বিক্রি করা হয়।’ আশুলী আবুপুরের মা ইলিশ বিক্রি চক্রের সদস্য বলে পরিচিত মোসলেম আকনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘আমি মাছ ধরি না, বিক্রিও করি না। সকাল হলে মাঝে মধ্যে এখানে আসি।’
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জাকির সরদার বলেন, জেলেরা বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিয়ে মা ইলিশ ধরে। তাদের দোষ নেই। হিজলা উপজেলার মা ইলিশ রক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজনের অবহেলায় এসব হচ্ছে। আমরা নিরুপায়।
হিজলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন নদীতে কোনো জেলে নেই। যদি নদীর ওপরে কোনো মা ইলিশ বিক্রির হাট বসে থাকে তবে সেটা থানা-পুলিশ দেখবে।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি নদীতে টহলে থাকি, আমার চোখে কোনো জেলে নৌকা পড়েনি। তবে চর আবুপুর ও আশুলী আবুপুর মা ইলিশের যে হাট বসে এই সংবাদ পেয়েছি। এটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
হিজলা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মাত্র চার দিন হলো যোগদান করেছি। এর মধ্যে তিন দিন অভিযানে ছিলাম। কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, থানা-পুলিশ, আনসার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আবুপুর ও আশুলী বাজারে অভিযান জোরদার করা হবে।