সাতক্ষীরার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের মুক্তি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইউনিয়নবাসী। গত শুক্রবার বিকেলে শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে এলাকার নানা বয়সী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
পারুল পরমান্যের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে শেখ আব্দুর রহিমের স্ত্রী রোখসানা পারভীন, মোসলেম গাজী, ফজলুল হক, শুকর আলী, আসমা বেগম, রাফিজা বেগম, আছিয়া বেগম ও চেয়ারম্যানের আট বছর বয়সী দুই মেয়ে বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভকারীরা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের মারধরের শিকার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা হামলার অভিযোগে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারসহ দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্রার্থীর ষড়যন্ত্রের শিকার আব্দুর রহিম। পলাতক অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়েও জয়ী হওয়ার পর থেকে তাঁরা রহিমকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আব্দুর রহিমকে জনবিচ্ছিন্ন করতে তাঁর নামে ৫৩টি মামলা দিয়েছে। সর্বশেষ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে বিরত রাখতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঋণখেলাপীসহ নানা অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাজার আদেশ থাকায় কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় বাঁধা দেওয়ায় পুলিশ স্থানীয় জনতাকে লাঠিপেটা করে এবং রাস্তার ওপর ফেলে প্রকাশ্যে চেয়ারম্যানকে মারধর করে। পরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে চেয়ারম্যানকে ১ নম্বর আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।