এক যুবককে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগে ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাঁদের আটক করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে মজিবর আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখনো চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি শপথ নেননি।
ভুক্তভোগী যুবকের নাম ইসরাফিল হোসেন (৩২)। তিনি বালিয়া ইউনিয়নের সূত্রাপুর এলাকার শামছুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ইসরাফিল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চেয়ারম্যান মজিবর রহমান (৪৫) ও তাঁর ভাতিজা সিয়াম (২০), সূত্রাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ (৭০), মজিদের ছেলে সামছুল হক (৪৫) ও নাতি সিহাব (১৭), পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মজিবর (৭০), স্থানীয় বাসিন্দা রাজন (৩৫), শামীম (২৫), নাছিমা আক্তার (৩২), রাশেদা বেগম (২৭)। আটক সবাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বিকেলে সূত্রাপুর চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে আসেন ইসরাফিল হোসেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান মজিবর রহমানের সমর্থকেরা। তাঁর ইসরাফিল হোসেনকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। পরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা ইসরাফিলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
তবে চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে তাঁদের পাল্টা ধাওয়া করেন। এতে ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদ পারভেজ জানান, বালিয়া এলাকায় ইসরাফিল নামে একজনকে হাত-পা বেঁধে মারধরের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আনা হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘তাঁকে (চেয়ারম্যান) থানায় আনা হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ দেন তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে।’