বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের অপসারণের দাবিতে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জনি পারভীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গত রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেছিলেন। জনি পারভীনকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত এই অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জনি পারভীনের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা, হয়রানি, অসৌজন্যমূলক আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে বিভাগের ছয়জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, অর্থনীতি বিভাগ সেশনজটমুক্ত ও আইকিউএসি রেটিংয়ে প্রথম স্থানপ্রাপ্ত বিভাগ ছিল। কিন্তু জনি পারভীন বিভাগীয় প্রধান হওয়ার পর থেকে লাগাতার অনুপস্থিত থাকছেন। করোনার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ অনলাইনে ক্লাস চালু করলেও তিনি এক বছর সাত মাসেও কোনো একাডেমিক সভা আহ্বান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়েছেন। আন্দোলনকারীরা তাঁর অপসারণ চান।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানান, জনি পারভীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনের আবেদনের জন্য অভিজ্ঞতা সনদ অগ্রায়নের আবেদন, শ্রান্তি বিনোদনের আবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখেছেন। তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষকদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনি পারভীন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘সেশনজটের পেছনে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা দায়ী। তাঁরা শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট না দিয়ে আটকিয়ে রেখেছিলেন। এ ছাড়া একাডেমিক মিটিংয়ে নিয়মিত আসেন না। আমি বিষয়টি ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। তাঁদের এ অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। পুরো বিষয়টি আমি প্রেস কনফারেন্স করে জানাব।’