‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নীতিমালা করার পর আমরা কিউকমে বিনিয়োগ করেছি। তাহলে আমাদের দোষটা কোথায়? পেমেন্ট গেটওয়ে টাকা আটকে রাখছে। সেটা উদ্ধারের ব্যবস্থা না করে কিউকমের মালিকদের জেলে ঢোকানো হলো। তাহলে আমাদের টাকাটা দেবে কে?’
এমন অসংখ্য প্রশ্ন কিউকমের ভুক্তভোগী আহমেদ রসূলের। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কিউকম কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নেন রসূলের মতো এমন অনেকে। পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারে আটকে থাকা টাকা সাত দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে উপস্থাপিত ভুক্তভোগীদের চার দফা দাবিগুলো হচ্ছে—ফস্টারকে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নজরে রেখে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া। ফস্টারের স্ক্রো সিস্টেম এ কিউকম গ্রাহকদের আটকানো টাকা সাত দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া। ফস্টারের সিস্টেম অটোমেশন করা। আইনি কাঠামোর মাধ্যমে কিউকমকে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেওয়া।
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী এস্কো সিস্টেমের কারণে কিউকমে যাঁরা বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেছিলেন তাঁদের টাকাটা নিরাপদে ছিল জানিয়ে কিউকম কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেসি আলম হৃদয় বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী পণ্য না পেলে পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে মূল টাকাটা ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা। অনেক দিন হয়ে গেলেও আমরা টাকা ফেরত পাইনি।’
ফের রিমান্ডে কিউকমের সিইও
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় আরেক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়ার এক দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
৩ অক্টোবর রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে রিপনকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মামলায় ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখানোসহ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন।