গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি কালভার্টের দুই পাশই সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়নের বকসী বাড়ি-চন্দ্রা সড়কের সানাইদা পাড়া এলাকায় খালের ওপর নির্মিত এই কালভার্ট মানুষের কোনো কাজে আসছে না। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ১৬ বছর ধরে পড়ে আছে এটি।
স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে কালভার্টের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করে। কালভার্টটি ভেঙে সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০৭ সালে নির্মিত কালভার্টটির দুই পাশে মাটি নেই। শ্রীফলতলী ইউনিয়নের সানাইদা পাড়া, নাওলা, গুঠুরি, বড়দলসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তাদের বাধ্য হয়ে কালভার্টটি ব্যবহার করতে হয়। তাই তারা কালভার্টের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে।
উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. আব্দুল কাদের বলেন, শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০০৭ সালে সানাইদা পাড়া খালের ওপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। কালভার্টটি নির্মাণের কিছুদিন পর বন্যায় পানির স্রোতে কালভার্টের দক্ষিণ পাশে ৩০০ গজ ও উত্তর পাশে ২০০ গজ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার পানির স্রোতে কালভার্টের দক্ষিণ পাশে সড়কের বেশ কিছু অংশে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়।
আব্দুল কাদের আরও বলেন, কালভার্টটি নির্মাণের সময় থেকে ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও খাদে মাটি ভরাট করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়নি। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
একই ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মো. বাবুল হোসেন বলেন, শ্রীফলতলী ইউনিয়নের সানাইদা পাড়া, নাওলা, গুঠুরি ও বড়দল গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি মেরামত না করায় যাতায়াতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রয়োজনে কালভার্টটি ভেঙে আরেকটি কালভার্ট বা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিবর রহমান জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সানাইদা পাড়া কালভার্টটি ভেঙে ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।