রাজশাহীতে রেলওয়ের এক কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রেলের আরেক কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম জহুরুল ইসলাম (৫০)। তিনি শিরোইল কলোনি এলাকার বাসিন্দা। জহুরুল রেলওয়ের পোর্টার পদে চাকরি করতেন। কর্মরত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা স্টেশনে। তিনি নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রেলওয়ে শ্রমিক লীগের রাজশাহীর ওপেন লাইন শাখার সহসভাপতি ছিলেন।
তাঁকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মতিয়ার রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি নগরীর হাজরাপুকুর এলাকায়। মতিয়ারও চাকরি করেন রেলে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের (সিওপিএস) কার্যালয়ের এমএলএসএস তিনি।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন জানান, পোর্টার জহুরুল ইসলাম এমএলএসএস মতিয়ার রহমানকে নিয়ে তাঁর বাড়ির পাশে রেলের একটি পরিত্যক্ত জমি চাষাবাদ করতেন। তবে জমিটি নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে মতিয়ার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জমিতে এসে জহুরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ঘটনার পরই তাৎক্ষণিকভাবে মতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়েছে। কেন, কীভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেসব বিষয় স্পষ্টভাবে জানতে চন্দ্রিমা থানা-পুলিশ কাজ করছে। রামেকের মর্গে নিহত ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে।