মেয়েটির নাম রোজমেরি। সে খুব সরল ও ভালো মেয়ে। থাকে তার সৎমায়ের সঙ্গে। সৎমা তাকে একেবারেই দেখতে পারেন না। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেও রোজমেরিকে কথা শুনতে হয়। অনেক কাজ করার পরও বকা শুনতে হয়।
একদিন সৎমা রোজমেরিকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটলেন। তাই তাকে নির্দেশ দিলেন সে যেন পৃথিবীর শেষ ঝরনা থেকে চালুনিতে করে পানি নিয়ে আসে। সৎমায়ের কথামতো রোজমেরি বেরিয়ে পড়ল পৃথিবীর শেষ ঝরনার খোঁজে। যেতে যেতে পথে দেখা হলো এক গাড়িচালকের সঙ্গে। গাড়িচালক তাকে পৃথিবীর শেষ ঝরনার সন্ধান দিতে পারেনি। তারপর দেখা হলো তিনটি বালকের সঙ্গে। রোজমেরির কাণ্ড শুনে তারা হাসতে হাসতে শেষ।
এবার দুঃখী রোজমেরি এক বুড়ির দেখা পেল। বুড়ি তাকে শেষ ঝরনার সন্ধান দিলেন। পাহাড়ের পাথুরে পথ পেরিয়ে, হেজেল বন পেরিয়ে সে ঝরনার দেখা পেল। কিন্তু এই পানি সে কীভাবে চালুনিতে ভরবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। এ সময় রোজমেরিকে একটি ব্যাঙ বুদ্ধি দিল। তবে ব্যাঙ একটি শর্ত দিয়েছে। সব শর্ত মেনে নিয়ে ব্যাঙের বুদ্ধি অনুযায়ী রোজমেরি চালুনিতে পানি ভরল এবং বাড়ি চলে গেল। তারপর কী হলো? পুরোটা জানতে হলে পুরো বই পড়তে হবে।
বইয়ের নাম: ইংল্যান্ডের রূপকথা
অনুবাদ: আমীরুল ইসলাম
প্রকাশক: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
দাম: ১১০ টাকা।