হোম > ছাপা সংস্করণ

মানববর্জ্যে সখী কম্পোস্ট কম খরচে বেশি ফলন

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

সারা বিশ্ব যখন নানা ধরনের বর্জ্য নিয়ে চিন্তিত, এমন সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুখবর দিচ্ছে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভা। তারা কো-কম্পোস্ট প্ল্যান্ট তৈরি করে মানববর্জ্য থেকে তৈরি করছে অরগানিক জৈব সার। ওই প্ল্যান্ট থেকে বছরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৭২০ টন জৈব সার।

এতে পরিবেশদূষণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমছে, কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মডেল হিসেবে মনোনীত হয়েছে। 
জানা গেছে, ভেকুট্যাগ দিয়ে পৌর এলাকার বাসাবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তরল মানববর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে এসব বর্জ্য পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থাপিত কো-কম্পোস্ট প্ল্যান্টে নেওয়া হয়। এখানে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মানববর্জ্যের সঙ্গে কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে ৫৬ দিন কম্পোজিট করা করে। এই কম্পোজিট থেকে তৈরি হয় জৈব সার। এই সারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সখী কম্পোস্ট’। বর্তমানে বাজারে সখী কম্পোস্ট নামের এই জৈব সার বিক্রি করা হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। ফলে দিন দিন বাড়ছে এই সারের চাহিদা।

স্থানীয় কৃষক রসুল উদ্দিন বলেন, ‘কম দামে এই সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়।’

কো-কম্পোস্ট প্ল্যান্টের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা মো. মাসুদ হাওলাদার জানান, পৌরসভার ৫৮ শতাংশ মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।  

মেয়র আবু হানিফ আজাদ বলেন, পৌর এলাকার সাড়ে চার হাজার মানুষকে এ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে। একজন ভেকুট্যাগচালক ও দুজন সহকারী নিয়মিত মানববর্জ্য সংগ্রহ করছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, সখীপুর পৌরসভার মতো সারা দেশের পৌরসভায় এই প্রকল্পটি চালু করতে পারলে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ