ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আফরিন আহমেদ হ্যাপীর আদালতে হোসনা আক্তার নামের এক নারী মামলাটি করেন। বিচারক মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মাইনুল হাসান তুষার বলছেন, তাঁকে ও তাঁর বাবাকে হেয় করতে এই মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্টাররোলে অফিস সহায়ক পদে চাকরির জন্য ওই উপজেলার গুনারা গ্রামের হোসনা আক্তার আবেদন করেন। চাকরির পূর্ণ নিশ্চয়তার জন্য তিনি সংসদ সদস্যের ছেলে তুষারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তুষার সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন হোসনার কাছে। পরে একই বছরের ৫ জুলাই তুষারকে চাকরির জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেন হোসনা। এজাহারে আরও বলা হয়, টাকা পাওয়ার পর তুষার তাঁর বাবার সিল ও স্বাক্ষরসহ সুপারিশ করা একটি দরখাস্ত হোসনা আক্তারের কাছে দিয়ে তা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দিতে বলেন এবং সিভিল সার্জনের নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে সুপারিশ করা আবেদন জমা দেওয়ার পরও হোসনার চাকরি হয়নি। পরে লোকজন নিয়ে বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তুষার তা অস্বীকার করেন।
এই মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তাঁর নাম এই প্রথম শুনলাম। আমাকে ও আমার বাবাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা করেছেন তিনি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, মামলার কাগজপত্র আদালত থেকে এখনো থানায় আসেনি। কাগজপত্র পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশনামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।