মাদক বেচাকেনার খবর ৯৯৯-এ ফোন করে জানানোয় মুক্তার হোসেন নামের এক ব্যক্তির ছোট ভাই উজ্জ্বল হোসেনের (২৬) অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। মুক্তার হোসেন ব্রাহ্মবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। মুক্তারের অভিযোগ, এ ঘটনার প্রতিকার চাইতে গেলে গালমন্দ করে তাঁকে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ ওই গ্রাম থেকে মাদকের পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। কিন্তু অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ না করে কামালের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গত সোমবার মামলা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় মুক্তার হোসেন গত রোববার বিকেলে ৯৯৯-এ ফোন করে কান্দি গ্রামে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে এমন খবর পুলিশকে জানান। এরপর রোববার বিকেলেই কান্দি গ্রামের কামাল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই কামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ সময় ওই বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কেজি গাঁজা, আটটি রামদা ও চারটি ফলা জব্দ করা হয়। এরপর বিকেলে মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই উজ্জ্বল হোসেনকে (২৬) অপহরণ করে কামাল পালিয়ে যান। গত সোমবার রাতে উপজেলার চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহ বাদী হয়ে কামাল হোসেনকে আসামি করে একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তবে মাদক উদ্ধারের সময় দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হলেও মামলায় তা নথিভুক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে উজ্জ্বলের বড় ভাই মুক্তার হোসেন বলেন, ‘কামাল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছেন। বাধা দেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়েছেন। পুলিশকে ফোন করায় গত রোববার বিকেলে কামাল আমার ছোট ভাইকে অপহরণ করে নিয়ে যান। মামলা উঠিয়ে নিতে আমার মাকে বারবার ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তিনি আমায় গালমন্দ করে থানা থেকে বের করে দেন।’
মুক্তারকে গালমন্দের বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার অস্বীকার করে বলেন, মাদক উদ্ধারের সময় কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা মামলায় উল্লেখ নেই। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার দুটি ভিন্ন বিষয়। তবে মাদক মামলায় অস্ত্র উদ্ধারের কথা উল্লেখ থাকে না।