সেতুটির দুই পাশের রেলিং অনেক আগেই ভেঙেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আর মেরামত হয়নি। তিন-চার বছর ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। গত বুধবার সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান। এতে স্বস্তি ফিরেছে গ্রামবাসীর মধ্যে।
বলা হচ্ছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি-মহিতুর সড়কের কুচামারা খালের সেতুর কথা। এর দুই পাশের রেলিং ভেঙে রড বের হয়ে আছে। সেতুর পাটাতলের বিমেও ফাটল ধরেছে। সেতুটি দিয়ে ভারী কোনো যান চলাচল করলে ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুটির দুই পাশের রেলিং অনেক আগেই ভেঙেছে। কাঁঠালবাড়ি-মহিতুর গ্রামীণ ওই সড়ক দিয়ে চারটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। এরপর আর সেতুটি মেরামত করা হয়নি। তিন-চার বছর ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ ওই সড়কের কুচামারা খালে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর নির্মাণকাজ করছেন জয়পুরহাটের দেবীপুরের মেসার্স মিলু কন্সট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫৬ টাকা।
মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী আবদুর রহিম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশের সেতুটি জরাজীর্ণ। সেতুটির ওপর দিয়েই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করত। এতে অভিভাবকেরা ভয়ে থাকতেন। এবার সেই সেতু নতুন করে নির্মাণ করা হবে জেনে খুব ভালো লাগছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, ‘ভ্যানে করে কৃষিপণ্য নিয়ে সেতুটি পার হওয়ার সময় খুব ভয় লাগে, এই বুঝি ভেঙে পড়ে। এখন ভালো লাগছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুর রহিম বলেন, উন্নতমানের রড সিমেন্ট দিয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে।