আরবি তওবা শব্দের অর্থ অনুশোচনা করা, মহান আল্লাহর কাছে ফিরে আসা বা প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহর নাফরমানি পরিত্যাগের দৃঢ় সংকল্প করে তাঁর আনুগত্যে ফিরে আসাকে শরিয়তের পরিভাষায় তওবা বলে।
শয়তানের প্ররোচনায় বান্দার পক্ষ থেকে গুনাহ হতে পারে। মহান আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। অনুতপ্ত বান্দার তওবা তিনি যেকোনো সময় কবুল করেন। হাদিস শরিফে এসেছে, নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘রাতে আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ার হাত প্রসারিত করেন যেন দিনের বেলার অপরাধী তাঁর কাছে তওবা করে। একইভাবে দিনে তিনি নিজ হাত প্রশস্ত করেন যেন রাতের বেলার অপরাধী তাঁর কাছে তওবা করে। এমনিভাবে চলতে থাকবে পশ্চিম দিগন্ত থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘বান্দার প্রাণ ওষ্ঠাগত না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন।’ (তিরমিজি)
সব নবী-রাসুল নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা অধিক পরিমাণে তওবা ইস্তিগফার করতেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে লোকজন, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো। কেননা আমি আল্লাহর কাছে প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করে থাকি।’ (মুসলিম)
পবিত্র মাহে রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাস তওবা ও ইস্তিগফারের মাস। যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজ গুনাহসমূহ ক্ষমা করাতে পারল না, তার জন্য জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) বদদোয়া করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, নবী (সা.) বলেন, ‘আমার কাছে জিবরাইল (আ.) উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হে মুহাম্মদ, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল অথচ পাপমুক্ত হতে পারল না আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুন। তখন আমি আমিন বললাম।’ (ইবনে হিব্বান)
তাই আসুন, রমজান শেষ হওয়ার আগেই খাঁটি তওবা করে আল্লাহর প্রিয় হই।
মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক