হোম > ছাপা সংস্করণ

অসংযত কথা বলা নিন্দনীয়

আবদুল আযীয কাসেমি

কথা হলো দুধারি তলোয়ার। এর সচেতন ব্যবহার যেভাবে তৈরি করতে পারে ভালোবাসার সুরম্য সৌধ, তেমনি এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ধসিয়ে দিতে পারে ভালোবাসার সোনালি প্রাসাদ। তাই শব্দচয়ন ও ভাষা ব্যবহারে আমাদের হতে হবে পূর্ণমাত্রায় সচেতন। এ ব্যাপারে ইসলাম সতর্ক করেছে। এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘বান্দা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মতো কোনো কথা বলে বসে; তার ধারণাই থাকে না যে, কথাটির কারণে সে বিশেষ কোনো মর্যাদার অধিকারী হবে; তবে আল্লাহ তাআলা কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর প্রতি সন্তুষ্টির কথা লিখে দেন। আবার কখনো বান্দা এমন কথা বলে বসে, যা আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করে। তার ধারণা থাকে না, এর পরিণতি কত দূর গড়াতে পারে। কিয়ামতের দিন পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্টির কথা লিখে দেন।’ (তিরমিজি)

আরেকটি উদাহরণ দেখা যাক। ‘তালাক’ শব্দটি এতটাই ভারী যে, এটি উচ্চারণ করামাত্রই আপনার স্ত্রী আপনার জন্য হারাম হয়ে যায়। তার সঙ্গে ঘরদোর করা, মেলামেশা করা, ওঠাবসা করা সবকিছু হারাম হয়ে যায়। কখনো একটি শব্দ আপনার বহু বছরের প্রিয় বন্ধুকে শত্রু বানিয়ে দিতে পারে। এক আরব কবি সত্য বলেছেন, ‘তিরের জখম তো এক দিনে শুকিয়ে যায়/তবে কথার জখম কখনোই শুকায় না।’

আমার মুখ থেকে উচ্চারিত একটি শব্দের কারণে যদি কোনো ভাইয়ের সম্মানহানি হয়, তবে আমার জন্য অপেক্ষা করছে চরম দুর্ভাগ্য। হাদিস থেকে জানা যায়, কিয়ামতের দিন এমন কিছু লোককে হাজির করা হবে, যারা অনেক ইবাদত-বন্দেগি করার পাশাপাশি কাউকে গালি দিয়েছে, কারও সম্মানহানি করেছে...তাদের সকল সওয়াব এসব বদ আমলের বিনিময়ে বিচারপ্রার্থীদের দিয়ে দেওয়া হবে। যখন তার কিছু থাকবে না, তখন তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ